Our website use cookies to improve and personalize your experience. Our website may also include cookies from third parties like Google, Youtube. By using the website, you consent to the use of cookies. We have updated our Privacy Policy. Please click on the button to check our Privacy Policy.

অনিয়ম সহিংসতায় ম্লান ভোটের রং

নির্বাচনে নানামুখী অনিয়মের অভিযোগ আর বিনা ভোটে জয়ের রেকর্ড। শুধু ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীই নয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও এবার অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্নিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নির্বাচন কমিশনের নির্বিকার অবস্থানের কারণেই এই নাজুক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এত কিছুর পরও নির্বাচন কমিশনের অবস্থান ছিল দায়সারা। হাতেগোনা দু-একটি ঘটনা ছাড়া অনিয়মের বিরুদ্ধে ইসির দৃশ্যমান কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি। বছরজুড়েই এই নির্বাচন ছিল দেশের তৃণমূল রাজনীতির আলোচনার বিষয়। এসব ঘটনা নিয়ে সংসদের বৈঠকেও উত্তাপ ছড়িয়েছে। তবে পরিস্থিতি বদলায়নি।



ইসি থেকে পাওয়া ভোটের ফলে দেখা গেছে, নিজ দলের বিদ্রোহীদের কাছে নাকাল হতে হয়েছে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীদের। নির্বাচনের আগে ইসি আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে একাধিক বৈঠকেও বলা হয়েছে, এবারের নির্বাচনে সহিংসতার মূল কারণ ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহীদের সঙ্গে নৌকার প্রার্থীদের বিরোধ। যেখানেই বিদ্রোহীরা শক্তিশালী ছিল সেখানেই বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কখনোই ইসির নিয়ন্ত্রণে ছিল বলে মনে হয়নি। কোথাও তারা সরকারি দলের প্রার্থীর পক্ষে আবার কোথাও বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে পক্ষপাতমূলক ভূমিকা রাখার অভিযোগ ওঠে।


আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত বিদ্রোহীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন ভোটের মাঠে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়া অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির নেতাকর্মীরা। দলীয় প্রতীক না থাকলেও অনেক স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটের লড়াইয়ে ছিলেন।

Related Posts

  • ‘শিবির করি কি না জিজ্ঞেস করেই থাপ্পড় দেয় আমাকে’

  • রাতের ভোটের আওয়ামী লীগ সরকার

  • হাসিনার হাইব্রিড শাসন: স্বৈরাচার, গণতন্ত্রের মুখোশ এবং উন্নয়নের মূলা

  • নির্বাচনের নামে ভেল্কিবাজি