Our website use cookies to improve and personalize your experience. Our website may also include cookies from third parties like Google, Youtube. By using the website, you consent to the use of cookies. We have updated our Privacy Policy. Please click on the button to check our Privacy Policy.

আ. লীগের ক্ষমতার উৎস ভারত: বিএনপি

আবারও ভারত প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপির মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতাদের কথায় স্পষ্ট, দলটির ক্ষমতার উৎস জনগণ নয় বরং ভারত।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়া পল্টনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের অবস্থান ব্যক্ত করেন রিজভী।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জনগণের ভোটের আশা করে না। জনগণের ভোটের প্রতি তাদের আস্থা নেই। ভারত সরকারের ক্ষমতার জোরে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে। আওয়ামী লীগ এখন একটি ভারতীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে, যা স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বার্থ ও মর্যাদার পরিপন্থি।’

সংবাদ সম্মেলনে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বক্তব্য নিয়ে কথা বলেন রিজভী। তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক মুখে দুই কথা বলেন। তার এই দ্বিচারিতার মধ্যেই প্রকৃত সত্যটি বের হয়ে আসে। তিনি আওয়ামী লীগের এক সমাবেশে বলেছেন, আমাদের সরকারকে কোনও বিদেশি শক্তি ক্ষমতায় বসায়নি। একই সভায় বক্তব্যের আরেক জায়গায় তিনি বলেন, নির্বাচনে ভারত জোরালোভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে, এটি জরুরি ছিল। তিনি আরেকটি সভায় বলেছেন, নির্বাচনের সময় ভারত পাশে দাঁড়িয়েছিল, স্বীকার করতেই হবে। আবার তিনি সাংবাদিকদের সামনে বলেছেন, শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি সব অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙেছে।’

রিজভীর দাবি, ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে প্রমাণ হয়, ভারতের সহযোগিতায় বিনা ভোটে তামাশার নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও তারা ক্ষমতা দখল করেছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জানান, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার আঙ্গোরপোতা-দহগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশি রাফিউল ইসলাম টুকলুকে রবিবার (২৮ জানুয়ারি) ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গুলি করে হত্যা করে। মাত্র ছয় দিন আগে ২২ জানুয়ারি বিজিবি সদস্য সিপাহী মোহাম্মদ রইসুদ্দিনকে বিনা উস্কানিতে সম্পূর্ণ ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। এই হত্যার পর বিএসএফ’র পক্ষ থেকে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয় তা উপহাসমূলক ও মিথ্যাচার।’

রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী ডামি সরকার সীমান্তে অব্যাহত নির্মম হত্যাকাণ্ড নিয়ে এ পর্যন্ত প্রতিবাদ তো দূরের কথা টু শব্দও করার সাহস দেখাতে পারেনি। উল্টো ভারতের তোষামোদিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মন্ত্রীরা।’

Related Posts