Our website use cookies to improve and personalize your experience. Our website may also include cookies from third parties like Google, Youtube. By using the website, you consent to the use of cookies. We have updated our Privacy Policy. Please click on the button to check our Privacy Policy.

আ.লীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব্যর্থ এবং জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত: মঈন খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী। সে জন্যই ৭ জানুয়ারি দেশের জনগণ ডামি নির্বাচনের ভোট বর্জন করেছে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব্যর্থ এবং জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত। দেশের জনগণ অতীতেও আপোস করেনি এবারও ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রশ্নে আপোস করবে না।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘গণতন্ত্রের সংকট উত্তরণে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান: বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আজ যে কারণে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে সেই লক্ষ্যকে উধাও করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তারা বহুবার গণতন্ত্র হত্যা করেছে। ৭৫ সালে ১১ মিনিটের ব্যবধানে সংসদে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। পরে সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেন। বিগত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশে গণতন্ত্র হরণ করেছে। বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন টাইমসের প্রবন্ধে বলা হয়েছে- আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে বাকশাল-০২ কায়েম করেছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা গণতন্ত্র নতুনভাবে জনগণের হাতে তুলে দিতে চাই। সে জন্যই রাজপথে আন্দোলন করে যাচ্ছি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে কর্মসূচি পালন করে আসছি। বাংলাদেশের হারানো গণতন্ত্র ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। বাংলাদেশের মানুষ কখনও মুখ বন্ধ করে বসে থাকে না।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেন, যারা জিয়াউর রহমান ও তার পরিবার নিয়ে সমালোচনা ও কটুক্তি করে তারা কারা? তারা হলো-গায়ের জোরে নির্বাচন, সকল গণমাধ্যম বন্ধ করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করা লোক। যাদের অধীনে কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তারা এরশাদের চেয়েও স্বৈরাচারী কায়দায় ক্ষমতায় থাকতে চায়। সে জন্যই ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচন করেছে। কিন্তু সেই নির্বাচনকে দেশবাসীকে নয় গণতান্ত্রিক বিশ্বও গ্রহণ করেনি।

জেডআরএফ‘র রিসার্চ সেলের আহ্বায়ক ডা. সৈয়দা তাজনিন ওয়ারিস সিমকীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেডআরএফ‘র ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ড. শামীম প্রমুখ।

Related Posts