Our website use cookies to improve and personalize your experience. Our website may also include cookies from third parties like Google, Youtube. By using the website, you consent to the use of cookies. We have updated our Privacy Policy. Please click on the button to check our Privacy Policy.

নৌকায় অনবরত সিল, তদন্তে অনিয়ম প্রমাণিত

লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে ব্যালট বইয়ে নৌকা প্রতীকে অনবরত সিল মারার ঘটনা তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এর আগে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি), জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ও উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে পৃথকভাবে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। তদন্তে সত্যতার প্রমাণ পান বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

সোমবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, উপনির্বাচনের কমিশন তদন্ত করে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্ত কর্মকর্তারা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের একটি কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে। সেখানে দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এছাড়া ওই কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে এবং কেন্দ্রটির ফল নির্বাচন কমিশন বাতিল ঘোষণা করেছে। এখন রিটার্নিং কর্মকর্তা ওই কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে সংশোধিত ফল ঘোষণা করলে, পরে কমিশন গেজেট প্রকাশ করবে। 

তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এর দুটি কেন্দ্রে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। সেখানেও ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ওই কেন্দ্র দুটির ফল বাতিল করে, সংশোধিত ফলের ওপর গেজেট প্রকাশ করা হবে।

পুলিশ ও নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ৫ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের একটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নের ১১৫টি কেন্দ্রে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে দিঘলী ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা আজাদ ব্যালট বইয়ে নৌকা মার্কায় অনবরত সিল মারেন। এ ঘটনার ৫৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এতে ওই নেতাকে ৪৩টি ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে দেখা যায়। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে দেশব্যাপী আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ স্থগিত করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে গত শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ভোরে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে আজাদকে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের দেওপাড়া গ্রাম থেকে তুলে আনা হয়। সে সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচয়দানকারীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর বাকবিতণ্ডা ও ধ্বস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে একটি মোটরসাইকেলে করে আজাদ হোসেনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। 

Related Posts