Our website use cookies to improve and personalize your experience. Our website may also include cookies from third parties like Google, Youtube. By using the website, you consent to the use of cookies. We have updated our Privacy Policy. Please click on the button to check our Privacy Policy.

‘পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলার’ যে বিবরণ দিলো বিএনপি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে দলের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

এতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আমান উল্লাহ আমানসহ অসংখ্য নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন এবং বহু নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিএনপির ডাকা আজকের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি বানচাল করতে সরকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ও দলীয় সন্ত্রাসীদের অন্যায় ও বেআইনিভাবে জনগণের বিরুদ্ধে নামিয়ে রাজধানীতে যে তাণ্ডব চালিয়েছে, আমরা তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’ 

মাতুয়াইল ও শ্যামলীতে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মাতুয়াইল ও শ্যামলীতে গাড়িতে আগুন দেওয়ার ও ভাঙচুর করার জন্য বিএনপিকে দায়ী করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। অথচ খবর বেরিয়েছে যে, পুলিশের সামনেই এসব ঘটনা ঘটিয়ে অপরাধীরা নির্বিঘ্নে চলে গেছে। কারা এটা করতে পারে তা অনুমানের জন্য বেশি বুদ্ধিমান হওয়ার প্রয়োজন নেই। নিজেরা অপরাধ করে বিএনপির ওপর দোষ চাপানোর অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দিচ্ছি।’

বিএনপি জানায়, নয়াবাজার ধোলাইখালে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় আহত হয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা জেলা বিএনপি সভাপতি আবু আশফাক, কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়র প্রার্থী ও ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ইশরাক হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, সদস্য ফিরোজ আব্দুল্লাহ, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক হাজী মোজাম্মেল হক মিন্টু সওদাগর, সদস্য এ কে এম হারুন অর রশিদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক হাজী কামাল হোসেন, ডেমরা থানা কৃষক দলের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, সদস্য শাহিন, আসাব উদ্দীন, মনির হোসেন, আরমান, সিহাব, আলমগীর হোসেন, বিল্লাল হোসেন, সবুজ মিয়া, সাইফুল ইসলাম, ৬৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তুহিন, সূত্রাপুর থানা বিএনপির সহ-সভাপতি কাইয়ুম ব্যাপারী, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা গুড্ডু, সূত্রাপুর থানা বিএনপি নেতা সঞ্জিব দেব জনি, পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, বরগুনা জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদ মোল্লা, পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রুমি, পিরোজপুর জেলা যুবদলের সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক আল ইমরান, পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সহ-পাঠাগার সম্পাদক সাজিদ বাবু, রংপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আকিবুর রহমান মনু, জেলা যুবদল নেতা সালেনুর, নারায়ণগঞ্জ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদ আহম্মেদ, যুবদল নেতা হারুন, যুবদল নেতা আজিজুল বারি, আরিফ খান, শাহিন শরীফ, সাফিন, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এস এম মাসুদ রানা, কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য মোর্শেদ আলম, সবুজবাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মো. জামাল হোসেন, মো. ফজল, সূত্রাপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাদিম হোসেন, কামরাঙ্গীরচর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনির, ইসমাইল, রিয়াজ, শাহবাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মিরাজ হোসেন, যাত্রাবাড়ী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জিয়াউর রহমান জীবন, কোতোয়ালি থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হুমায়ন কবির সৈকত, কদমতলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মামুন হোসেন, মো. হানিফ, মো. ইদ্রিস, মো. জোবায়ের আলম সুমন, মো. শিপন, মতিঝিল থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মো. হোসেন, পল্টন থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা খন্দকার কবির হোসেনসহ শতাধিক জনতা।
 
এসময় পুলিশ বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করে।

হামলায় আরও আহত হয়েছেন, কলাবাগান থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ওবায়দুল হক সৈকত, খিলগাঁও মডেল কলেজের সদস্য সচিব ফারুক মিয়া, পল্টন থানা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইমতিয়াজ, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজান আহম্মেদ শান্ত, যুগ্ম আহ্বায়ক রিমি, আলমগীর হোসেন, নকিব, শাহবাগ থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমাম হাসান রাকিব, ধানমন্ডি থানা ছাত্রদল নেতা চঞ্চল, নিউমার্কেট থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল, শাহিন ও কলাবাগান থানা ছাত্রদলের নেতা মো. সবুজ মিয়া।

গাবতলীতে হামলায় আহত হয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান। 

এসময় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান ইয়া-হিয়া, মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য শরিফুল ইসলাম চান, সাটুরিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মহসিন উজ্জামান, শ্রমিক দলের সহ-সম্পাদক আবু বক্কর রুবেল, ছাত্রদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সবুজ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রাসেল হোসেন, জাহাঙ্গীর, মো. সোহেল, মো. জিহাদ, আব্দুল্লাহ, আবু তালেব, রাব্বি, বিজয় এবং কলাবাগান থানা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মনির হোসেনসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। 

এ ছাড়াও, পুলিশের নির্বিচার গুলিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবু আব্বাসসহ প্রায় ২ শতাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়ে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

অবস্থান কর্মসূচি থেকে আদাবর থানা কৃষক দলনেতা সবুজ, রূপনগর থানাধীন ৯২ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সদস্য সচিব মো. মশিউর রহমান, দক্ষিণ খান থানার ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সদস্য সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও কাফরুল থানার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ জাকির হোসেনকে আটক করে পুলিশ।

Related Posts