Our website use cookies to improve and personalize your experience. Our website may also include cookies from third parties like Google, Youtube. By using the website, you consent to the use of cookies. We have updated our Privacy Policy. Please click on the button to check our Privacy Policy.

ভারত শেখ হাসিনাকে দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে খুন করেছে

গণঅধিকার পরিষদের (একাংশের) আহ্বায়ক ডক্টর রেজা কিবরিয়া বলেছেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি আওয়ামী সরকারের চূড়ান্ত পতন ঘণ্টা বাজবে। বর্তমান সরকারের একতরফা নির্বাচন একমাত্র ভারত ও রাশিয়ার কারসাজিতে সম্পন্ন করার অপচেষ্টা চলছে। ভারত শেখ হাসিনাকে দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে খুন করেছে। ভারত বিগত ৫২ বছর বাংলাদেশে রাজনৈতিক নিপিড়ন,অর্থনৈতিক শোষণের সাথে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে জড়িত, ভারত অব্যাহতভাবে এদেশে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র বিপক্ষে কাজ করছে, ভারত কখনো চায় না বাংলাদেশে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক।’

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘৭ জানুয়ারির প্রহসনের ডামি নির্বাচন বর্জনে’ সর্বদলীয় এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

রেজা কিবরিয়া বলেন, বাংলাদেশে ভারত ও রাশিয়ার আধিপত্য আমরা মেনে নেব না, ৭ তারিখের পাতানো নির্বাচন যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে। এই নির্বাচন দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি একদলীয় শাসনের দিকে নিয়ে যাবে, একদলীয় বাকশাল কায়েম আমরা জীবন থাকা অবস্থায় মেনে নেয়ার প্রশ্নেই আসে না।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেন, ৭ তারিখের পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা দেশকে একটি গৃহযুদ্ধের দিকে নিয়ে গেছে। আমরা এই দেশকে আওয়ামী ও ভারতীয় হানাদারদের হাত থেকে রক্ষা করতে দ্বিতীয় মুক্তিযোদ্ধ করতে রাজি আছি, ইনশাআল্লাহ এই মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের পতনের মাধ্যমে বাংলাদেশে আকাশে আবার গণতন্ত্রে সূর্য শীঘ্রই উদিত হবে। ৭ জানুয়ারি এদেশে কোনো নির্বাচন জনগণ হতে দেবে না। আওয়ামী লীগের পতন আওয়ামী লীগ নিজেই ডেকে এনেছে। ডামি আওয়ামী লীগ প্রার্থী, সতন্ত্র আওয়ামী লীগ প্রার্থী, বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ, নৌকার আওয়ামী লীগ সবমিলিয়ে আজ একাকার। এই নির্বাচন জনগণ প্রতিহত করবে বলেও হুঁশিয়ারী দেন ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন।

গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) সদস্য সচিব ফারুক হাসানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আনন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতিমণ্ডলী সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ, এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এবি পার্টির আহবায়ক সোলাইমান চৌধুরী, এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের, গণফোরাম সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) যুগ্ম আহ্বায়ক কর্নেল মিয়া মসিউজ্জামান প্রমূখ।।

Related Posts