Our website use cookies to improve and personalize your experience. Our website may also include cookies from third parties like Google, Youtube. By using the website, you consent to the use of cookies. We have updated our Privacy Policy. Please click on the button to check our Privacy Policy.

মেধাহীন জাতি তৈরিতে সরকারি ষড়যন্ত্র হচ্ছে: বিএনপি

একটি মেধাহীন জাতি তৈরি করার জন্য ‘সরকারি ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের এ অবস্থান তুলে ধরেন রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

লিখিত বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘শিক্ষানীতির কোনও মৌলিক কাঠামো গড়ে তোলা হয়নি। পাসের হার বাড়িয়ে দেওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে। শিক্ষার্থী উত্তরপত্রে কিছু লিখুক আর না লিখুক তাকে পাস করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে শিক্ষকদের। বলা হয়েছে, ফেল করানো যাবে না। অথচ পড়াশোনা করেই পাস করতে হয়।’

তিনি বলেন, ‘শিশুশ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। একেকবার একেক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে হযবরল করা হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্কুলমুখী না করে কোচিং সেন্টার ও গাইড বইমুখী করা হয়েছে। সুতরাং শিক্ষা ব্যবস্থায় এহেন অরাজকতায় কখনোই বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধি ঘটবে না। একটি মেধাহীন জাতি তৈরি করার জন্য সরকারি ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হচ্ছে।’

মাতৃভাষা, মাতৃভূমি ও দেশপ্রেম প্রকাশে সরকারিভাবে ‘কপটতা ও রাজনৈতিক শঠতা উৎসাহিত করা হচ্ছে’ বলেও অভিযোগ করেন রুহুল কবির। তিনি বলেন, ‘বাংলা ভাষার আন্তর্জাতিক মর্যাদা চাই, জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা বাংলা চাই ইত্যাদি সরকারি প্রোপাগান্ডা অব্যাহত রয়েছে। অথচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়েও বাংলা ভাষা চর্চার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি।’

বুধবার শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী আহমেদ বলেন, ‘দিনটি জাতির এক মর্মন্তুদ ও গৌরবউজ্জ্বল দিন। এই দিনটি আমাদের ভাষার অধিকার তথা মানুষের সহজাত মৌলিক মানবাধিকার আদায়ের এক মহিমান্বিত দিন। আগ্রাসী আধ্যিপত্যবাদী সংস্কৃতির বিরুদ্ধে স্বজাতির রুখে দাঁড়ানোর দিন। শেখ হাসিনা গতকাল (বুধবার) বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধির জন্য লম্বা-চওড়া বক্তৃতা দিয়েছেন। বর্তমান দখলদার শাষোকগোষ্ঠী বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য অন্তপ্রাণ দেখালেও বাস্তবে দেশকে পরিণত করা হচ্ছে ভিনদেশি ভাষা ও সংস্কৃতির পরিচর্যা কেন্দ্র হিসেবে। আত্মনির্ভরশীলতার স্থলে পরনির্ভরশীলতাকে করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় নীতি। এখন ভারত থেকে কচুরমুখীও আমদানি করতে হয়।’

বিএনপির দফরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই নেতা আরও বলেন, ‘প্রকাশনা শিল্পকে ধ্বংস করে বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক পর্যন্ত এখন ছেপে আসে ভারত থেকে। পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত অনেক প্রবন্ধ কবিতায় বানান ভুলে ভরা। বাংলাদেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের বাংলা ভাষার চর্চাকে ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য নানা কায়দায় পার্শ্ববর্তী দেশের রাষ্ট্রভাষার চর্চাকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে নিরন্তরভাবে।’

‘নিজস্ব ভাষা সংস্কৃতির বদলে ব্যাপকভাবে ভিনদেশি ভাষা ও সংস্কৃতির প্রসার ঘটাতে তাদের গল্প, কবিতা ও কার্টুনের বইয়ের পাশাপাশি সিনেমা ও নাটকের ব্যাপক আমদানি করা হচ্ছে। এই সরকার বাংলাদেশের বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে’, বলে মনে করেন রিজভী।

Related Posts