মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও তাদের রুহের মাগফিতার কামনা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি—একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এ দেশের সংগ্রামী মানুষ মৃতপ্রায় গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবনসহ দেশনেত্রীর (খালেদা জিয়া) মুক্তির আন্দোলনকে আরও জোরালো ও তীব্রতর করবে।’
বাণীতে মির্জা ফখরুল উল্লেখ করেন, ‘অধিকার আদায় এবং অন্যায়—অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের এক অগ্নিঝরা দিন একুশে ফেব্রুয়ারি। মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করে তারা আত্মত্যাগের যে মহিমান্বিত দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন আন্দোলন—সংগ্রামে তা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে। তাদের আত্মদানের ধারাবাহিকতায় গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনের পথ বেয়ে আমরা অবতীর্ণ হয়েছি স্বাধীনতা যুদ্ধে। অর্জিত হয়েছে স্বাধীন—সার্বভৌম বাংলাদেশ।’
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে জাতীয়তাবোধ ও অধিকারবোধের চেতনা পরিপূর্ণতা পায় বলেও উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।
এসময় বিএনপির এই অন্যতম শীর্ষ নেতা অভিযোগ করেন, ‘সেই চেতনা নস্যাৎ করে একদলীয় শাসনের জগদ্দল পাথর আজ জনগণের কাঁধের ওপর চাপানো হয়েছে। গণতন্ত্রকে সমাহিত করে অপশাসনের বেড়াজালে গোটা জাতিকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। অবৈধ শক্তির জোরে সাজানো মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি সাজা দিয়ে জনগণের প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে বন্দী করে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা হয়েছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘৭ জানুয়ারি একতরফা ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও দখলকৃত ক্ষমতা সম্প্রসারণের প্রচেষ্টায় বেপরোয়া ও অত্যাচারী হয়ে উঠেছে অবৈধ সরকার। চলমান ভয়াবহ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনগণ একুশের চেতনায় রুখে দাঁড়িয়েছে।’