জয় মূলত অরাজনৈতিক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে চলেছেন। তিনি বাড়িতে জনসাধারণের ভিড় একেবারেই পছন্দ করেন না। তাছাড়া রাজনীতির প্রতি তার অপছন্দও তিনি প্রকাশ করেছেন। আগ্রহ বা কৌতূহল নিয়ে শেখ মুজিবের নাতির সঙ্গে দেখা করতে আসা অনেকের সঙ্গেই জয় অবজ্ঞাপূর্ণ আচরণ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে গিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আপাত কোনও সম্পর্ক জয় রাখেননি। তার মার রাজনৈতিক দলটির প্রতিও তার কোনও আসক্তি ল করা যায়নি, এমনকি দেশে তার পরিবারের সঙ্গে বসবাস করার ইচ্ছাও তার ছিল না।
জয়ের জীবনে প্রেম ও বিয়ে
শেখ হাসিনার শাসনামলে (১৯৯৬-২০০১) স্কুল জীবনের এক বান্ধবীর সঙ্গে জয়ের বাগদান হয়। কনে ভারতের এক শিখ পরিবারের মেয়ে। শেখ হাসিনা সরকারি সফরের নামে লন্ডনে গিয়েছিলেন বিয়ের কথা পাকা করতে। সঙ্গে গিয়েছিল আত্মীয়-স্বজন ও পারিবারিক বন্ধু-বান্ধব। আরও সঙ্গে নিয়েছিলেন ঢাকার বিখ্যাত ফখরুদ্দিন বাবুর্চির সহকারীদের। তবে তার একমাত্র শর্ত ছিল মেয়েকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে হবে। কিš’ সেই মেয়ে এতে অস্বীকৃতি জানায়। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শেখ হাসিনা সেদিনই সকল অনুষ্ঠান বাতিল করে দেন। তিনি সারাদিনই হোটেলের কে নিজেকে আবদ্ধ করে রাখেন এমনকি কারও সঙ্গে কথাও বলেননি। বিয়ের সেই অনুষ্ঠান আর হয়নি। কোনও অনুষ্ঠান না হওয়ায় অতিথিরা বিরিয়ানি না খেয়েই ঢাকায় ফিরে আসেন।
জয় বর্তমানে মার্কিন নাগরিক ক্রিস্টিন অ্যান ওভারমাইন ওরফে ক্রিস্টিনা ওয়াজেদের সঙ্গে বিয়ের বদ্ধনে আবদ্ধ। ২৬ অক্টোবর ২০০২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের বিয়ে হয়। জনৈক রিচার্ড ডি লুমিসের সঙ্গে আগে ক্রিস্টিনের বিয়ে হয়েছিল বলে জানা গেছে। গুজব শোনা গিয়েছিল জয়-ক্রিস্টিনার তালাক আসন্ন। তবে সন্তান জন্মের কারণে সম্পর্কের টানাপোড়েন বা আলাদা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সম্ভবত এখন আর নেই।
গ্রেফতার এবং অভিযোসমুহ
১৪ জুন ১৯৯৮, টেক্সাসের টারান্ট কাউন্টিতে জয় গ্রেফতার হন। তার বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র রাখা ও মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ১২০ দিনের কারাবাস, ২৪ মাসের প্রোবেশন এবং ৫০০ ডলার জরিমানার আদেশ দেয়। ৬ ফেব্র“য়ারি ২০০৬, ভার্জিনিয়ার হ্যানোভার কাউন্টিতে গ্রেফতার হন জয়। তার বিরুদ্ধে বেপরোয়া গাড়িচালানো এবং বেআইনিভাবে রাডার ডিটেকটর সঙ্গে রাখার অভিযোগ আনা হয়। সাজা একদিনের হাজতবাস এবং জরিমানা। ১৯ মার্চ ২০০০, ভার্জিনিয়ার ফেয়ারপ্যাক্স কাউন্টিতে জয় গ্রেফতার হন। বিচারে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আদালত তাকে ৩০ দিনের সাসপেন্ডেড কারাবাস সঙ্গে ১২ মাসের প্রোবেশন ও ৪০০ ডলার জরিমানা করা হয়। এছাড়া ২৯ এপ্রিল ২০০১, ভার্জিনিয়ার রাপাহ্যানোক কাউন্টিতে এবং ২০ মে ২০০৪, আরলিংটন কাউন্টিতে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চলানোর দায়ে অভিযুক্ত হন জয়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই আদালতের খরচও জয়কেই বহন করতে হয়েছে।
মা ক্ষমতায় আসার পরই জয়ের পোয়াবারো
আওয়ামী লীগ মতায় আসার পর মা যখন প্রধানমন্ত্রী হলেন, তখুনি জয় ব্যবসা শুরু করলেন। তার ব্যবসা ছিল টেক্সাস ভিত্তিক ইনফোলিংক ইন্টারন্যাশনাল (নভেম্বর ’৯৮ থেকে মার্চ ’০১) এবং নোভা বিডি ইন্টারন্যাশনাল এলএলসি (মে ’৯৮ থেকে আগস্ট ২০০১) এর সঙ্গে। সমুদ্রতল দিয়ে ক্যাবল প্রজেক্টে নোভা বিডি ইন্টারন্যাশনালের এর মাধ্যমে তার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল SEAMEWE-৪ -এর সঙ্গেও। কোনো এক মাহবুব রহমানকে সঙ্গী করে জয় টাইকো কম্যুনিকেশনের (ইউএসএ) সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। ২০০৫-এর মার্চে জয় ওয়াজেদ কনসাল্টিং ও সিম গোবাল সার্ভিস নামের আরও দুটো কম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তবে তা হয়েছিল আওয়ামী লীগের মতা চলে যাওয়ার পর। মজার বিষয় হল, এ দুটো কোম্পানির বার্ষিক বিক্রয়ের পরিমাণ দেখানো হয়েছিল ৬১ হাজার ও ৩৫ হাজার ডলার। তারপরও জয় ২০০৬-এর ১২ মে তার নিজের নামে ৩৮১৭ বেল ম্যানর কোর্ট, ফলস চার্চ, ভার্জিনিয়া- এ ঠিকানায় ১০ লাখ ডলার দামের একটি বাড়ি কেনেন। এমনকি সেই বাড়ির মালিকানায় তার স্ত্রীর নাম ছিল না। তিনি ২ লাখ ডলার নগদ ও বাকি টাকা কিস্তিতে পরিশোধ করেন। বাড়ির আসল মূল্য লুকাতে এখানে চতুরতার পরিচয় দিয়েছেন জয়। তার আগে অবশ্য জয় তার স্ত্রীসহ যৌথ মালিকানায় ৭ লাখ ৪৯ হাজার ডলার দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আরেকটি বাড়ি কিনেছিলেন।
ব্যবসা যেন এক কাপ চা
শেখ হাসিনা মতায় আসার পর জয়ের বোন সায়মা ওয়াজেদ হোসেনের (পুতুল) স্বামী খন্দকার এম হোসেনও যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা শুরু করেন। তবে কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি তার ব্যবসা গুটিয়ে নেন। তার ব্যবসাগুলোর মধ্যে উলেখযোগ্য ছিল, বাংলাদেশ মেটাল এন্ড পাইপস ট্রেডিং কর্পোরেশন, সোনালী ইনকর্পোরেশন, ডগস হোলসেল ইনক, আফসানা ইনক, এবং জাম্পি কর্পোরেশন। মনে হতে পারে, তাদের দুজনের (জয় ও খন্দকার এম হোসেন) কাছে ব্যবসাটা এক কাপ চায়ের মতোই। তবে দুজনের কেউই ব্যবসায় খুব একটা অর্থের মুখ দেখেননি। অথচ ব্যবসায় দুজন আর্থিক সঙ্কটে ভূগেছেন, এমনটাও শোনা যায়নি। হয়তো বা মায়ের আশীর্বাদেই।
যুক্তরাষ্ট্রে পুতুল ও তার স্বামীর তিনটি বাড়ি
সায়মা ওয়াজেদ হোসাইন, ডাক নাম পুতুল। শেখ হাসিনার কন্যা ও জয়ের ছোট বোন। স্বামী খন্দকার মাহাবুব হোসেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে তার উলেখযোগ্য পরিমাণে সম্পদ রয়েছে। হুট করে নয়, বিভিন্ন সময়ে ধীরেসুস্থেই তারা একটি একটি করে সম্পদের মালিক বনেছেন। আর এ কারণেই সব সময় আলোচনা-সমালোচনার আড়ালে থেকেছেন তারা। ব্যবসায়ে লাভের পরিমাণ নামমাত্র দেখালেও পুতুল ও তার স্বামী খন্দকার মাহাবুব বাড়ি কিনেছেন লাখ ডলার দিয়ে। তাও একটি নয়, যুক্তরাষ্ট্রের ফোরিডাতে তাদের দুজনের নামে রয়েছে তিনটি বিলাসবহুল বাড়ি।
৪৫৬ নর্থ বে পয়েন্ট ওয়ে, জ্যাকসনভিল, ফোরিডা। এটি একটি ছোট বাসভবন। মালিকানা পুতুল ও তার স্বামী দুজনেরই। ২০০৫-এর ১ নভেম্বর ২ লাখ ৪৫ হাজার ডলার ব্যয়ে তারা এটি মেরিল এন্ড প্রিসসিলা কিংয়ের কাছ থেকে কিনেছিলেন। ৮৪৫ ইয়র্ক ওয়ে, মেইটল্যান্ড, ফোরিডা। এটিও একটি ছোট পরিবার ঘরানার বাড়ি। মালিক দুজনেই। মূল্য ৩ লাখ ১১ হাজার ডলার। ২০৬৫ ডবলিউ ১১৯ এভিনিউ, মিরামার, ফোরিডা। এ ভবনটিরও মালিক স্বামী-স্ত্রী। কেনা হয়েছিল ’৯৮’র ২৮ অক্টোবর। বাড়িটির দাম তখন ছিল ১ লাখ ৫৪ হাজার ৩শ ডলার। ছবিতে সজিব ওয়াজেদ জয়ের Linkedin প্রফাইলের আংশিক অংশ দেওয়া আছে। প্রোফাইল থেকে তার উল্লেখযোগ্য বিবরন পাওয়া যাচ্ছে। উনি নিজেকে আইটি বিষয়ে বিশেষভাবে জানা মানুষ হিসেবে পরিচয় দেন। তবে তারচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার উনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আইটি বিষয়ক উপদেষ্টা। এখন দেখা যাক আইটিতে উনার অবদান বা অর্জন কতটুকু।
উনি যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আইটি বিষয়ে পড়েছেন এগুলো তেমন স্বনামধন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয় না। তারপরেও তার প্রফেশনাল প্রোফাইলে আছে কম্পিউটার ল্যাব ম্যানেজার। এরকম যোগ্যতা সম্পন্ন কয়েক ডজন ছেলে বাংলাদেশেও আজকাল পথে ঘাটেই পাওয়া যায়। আরেকটি পদবির কথা লেখা আছে কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজার। তিনি বাকি যে দুটি প্রতিষ্ঠানের কথা বলেছেন তার মধ্যে দ্বিতীয়টি খুজে পেলাম না। প্রথম প্রতিষ্ঠানটির ও কোন ওয়েবসাইট নেই। তবে বর্তমানে ওয়াজেদ কনসাল্টিং ইন্ক নামের আকেটি প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার পদবি দেয়া আছে। এই প্রতিষ্ঠানেরও কোন ওয়েবসাইট নেই। বিজনেস কনসাল্টিং ফার্ম অথচ তাদের কাজেরও কোন সুনির্দিষ্ট বিবরন নেই।
একটি পত্রিকার খবর.. “বিশিষ্ট আইসিটি বিজ্ঞানী প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দেশের তথ্য প্রযুক্তি কার্যক্রমের অগ্রগতির বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে এসব বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। তিনি ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ-টুআই কর্মসূচি, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ল্যাপটপসহ ভিওআইপি উন্মুক্তকরণ, তথ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের হাই-টেক পার্কসহ আইসিটি উন্নয়নের পদক্ষেপের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ টেলিফোন শিল্প সংস্থার উদ্যোগে যেসব ল্যাপটপ তৈরি হবে এর স্যাম্পলসহ সজিব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে গণভবনে বৈঠক করেছেন। গত ১৪ ডিসেম্বর জয় তথ্য,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানকে নিয়ে শেরোবাংলাস্থ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অফিস পরিদর্শন করেন। তিনি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে আইসিটি খাতের উন্নয়ন বিষয়ে কথা বলেন।
বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি পলিসি নিয়ে কোন প্রোটোকলে উনি পরামর্শ দেন? উত্তর উনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আইটি বিষয়ক উপদেষ্টা। তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে ডিগ্রি যদি উপদেষ্টা হওয়ার যোগ্যতা হয় আমার মনে হয় এমন একাধিক বা অনেকে আছেন যারা এই খাতে প্রবাসে সম্মানের সঙ্গে কাজ করছেন – তারা তো এই সুযোগ পাচ্ছেন না। আর যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সন্তান হওয়ার কারনে তিনি পরামর্শক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে থাকেন তাহলে বলব এখানে সরকারের ক্রেডিবিলিটি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছেলে যে বিজ্ঞানী – তা তো জানা ছিলো না! আবারও প্রশ্ন,
• কিন্তু জয় কীভাবে বিজ্ঞানী?
• খ্যাতনামা কোনো জার্নালে উনি লিখেন না-কি?
• মৌলিক কোন বিষয়ে কোনো লেখা বা প্রকাশনা আছে কি জয়ের?
• উনি কি এম এস করেছেন?
• উনি কি কিছু আবিষ্কার করেছেন?
আমেরিকায় জয়ের আরো কিছু ক্রিমিনাল রেকর্ডের প্রমান তথ্য ও প্রমাণ সহঃ
২০০৫-এর মার্চে জয় ওয়াজেদ কনসাল্টিং ও সিম গোবাল সার্ভিস নামের আরও দুটো কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মজার বিষয় হল, এ দুটো কোম্পানির বার্ষিক বিক্রয়ের পরিমাণ দেখানো হয়েছিল ৬১ হাজার ও ৩৫ হাজার ডলার। এইসব তথ্য ছাড়াও বাংলাদেশের প্রথম নিজস্ব ল্যাপটপ “দোয়েল” কেলেংকারীতেও জয়ের প্রচ্ছন্ন ভূমিকা রয়েছে। এই ল্যাপটপের জন্য সরকার প্রায় ২০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছিলো। এই টাকা অনুমোদন করিয়েই দিয়েছিলো সজীব ওয়াজেদ জয়। আপনারা এরই মধ্যে দোয়েল ল্যাপটপের হরিলুটের সকল তথ্য জানেন। সামনে দোয়েল ল্যাপটপ নিয়ে একটি বড় লেখাও আসবে। চট্রগ্রাম-১১ এর এম্পির ছেলে নাজমুল চৌধুরী শারুনের মাধ্যমে সংঘঠিত হয়েছে বাংলাদেশের সবচাইতে বড় এই কেলেংকারীর ঘটনা। এই লেখার পরবর্তী পর্বে আসবে সেসব ঘটনার বাকী অংশ।
উপরে আপনারা দেখেছেন যে সজীব ওয়াজেদ জয় আমেরিকাতে কিভাবে নানাবিধ অপরাধ কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ে দোষী সাব্যাস্ত হয়েছে এবং শাস্তি পেয়েছে। এই ক্রিমিনাল লোকটিই যখন বাংলাদেশে এসে আমাদের প্রাণ প্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়া ও আমাদের নেতা তারেক রহমানকে নিয়ে বেয়াদপের মত কথা বলে ঔদ্ধত্য নিয়ে তখন আমরা বিষ্ময়ে হতবাক হয়ে যাই। একজন ক্রিমিনালের এত বড় গলা কোন সাহসে সেটি আমরা খুঁজে পাইনা কোনোভাবেই। খুনী হাসিনা তার বদমাইশ, ক্রিমিনাল ছেলেকে লেলিয়ে দিয়ে এই বাংলাদেশকে নতুন এক অনলে সঁপে দিতে চায়। আর সে লক্ষ্যেই এই ক্রিমিনাল টা কাজ করে যাচ্ছে দিনের পর দিন। সামনের পর্বে আপনাদের আরো নানাবিধ তথ্যের সামনে হাজির করে দেখিয়ে দেব যে এই সজীব ওয়াজেদ জয় আসলে বাংলাদেশকে কোন পথে নিয়ে যেতে চাইছে।