রাজশাহীতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাত নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ ভোরে নগরের হেতেমখাঁ এলাকার একটি ছাত্রাবাস থেকে তাঁদের আটক করা হয়। পুলিশ বলছে, ছাত্রাবাসটি শিবিরের দলীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। সেখান থেকে তাঁদের নয় বছরের সাংগঠনিক কার্যক্রমের প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। সন্ত্রাসী হামলার প্রস্তুতি নেওয়ার অভিযোগে তাঁদের আটক করা হয়েছে।
আটক নেতা-কর্মীরা হলেন রায়হান আলী, হামিম, মারুফ, ইশতিয়াক আহমেদ, শাকিল ইসলাম ও রনি আহমেদ। আটক অন্যজন কিশোর। সে দশম শ্রেণির ছাত্র। আটকদের মধ্যে রাজশাহী কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রায়হান আলী। তিনি শিবিরের রাজশাহী কলেজ শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি বলে পরিচয় দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বলেন, রায়হান আলী ও রনি আহমেদ মূলত নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করার কাজ করছিলেন। তাঁরা ভাস্কর্যবিরোধী মিছিল বের করতে পারেন এমন তথ্য পাওয়া যায়। অভিযান চালাতে গিয়ে দেখেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ষড়যন্ত্র করছিলেন আটক শিবির নেতা-কর্মীরা। অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে জিহাদি বই, ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সাংগঠনিক প্রতিবেদনের নথি ও নিয়মিত কর্মী সংগ্রহ কার্যক্রমের কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে। অভিযান চালানোর সময় আরও পাঁচ-ছয়জন পালিয়ে গেছেন। আটক আসামিদের নামে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে আদালতে সোপর্দ করার প্রস্তুতি চলছে।