সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রথম শিকার জামায়াতে ইসলামী। আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের চিন্তা চেতনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনকে স্থায়ী বিপর্যয়ের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। ঐক্যের পরিবর্তে জাতিকে বিভক্তির দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। আমরা কোন বিলাসী বিমানবন্দর চাই না। জামায়াতে ইসলামীর আমীর মকবুল আহমদ বলেছেন, দেশে আজ চরম সংকটকাল চলছে। আইনশৃংখলার চরম অবনতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসের সংকটে দেশের মানুষ দিশেহারা। দেশে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে। তিনি বলেন, বিরোধীদলের ওপর চলছে জুলুম-নির্যাতন। এ অবস্থা বেশিদিন চলতে পারে না। জুলুম নির্যাতন কখনই কারো জন্য কল্যাণকর হতে পারে না। তিনি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার আহবান জানিয়ে বলেন, সবাইকে নিয়ে বৃহত্তর গণআন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে জুলুম নির্যাতনের অবসান ঘটিয়ে একটি সুন্দর সোনালী দিন উপহার দিতে হবে।
গতকাল মিনিটে মগবাজারস্থ আলফালাহ মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার জরুরি অধিবেশন উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা একেএম ইউসুফ, নায়েবে আমীর অধ্যাপক একেএম নাজির আহমদ, মাওলানা আবদুস সুবহান, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক, ডা. শফিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য রফিউদ্দিন আহমদ, আ.ন.ম আবদুজ জাহের ও মীর কাশেম আলী, কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যাপক তাসনীম আলম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জতুল্লাহ, এডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, মাওলানা এটিএম মাসুম, আহমদুল্লাহ, আবদুর রব, চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর শামসুল ইসলাম এমপি, ঢাকা মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমীর হামিদুর রহমান আযাদ এমপি প্রমুখ।
সভায় কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ, কর্মপরিষদ ও মজলিসে শূরার সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। মকবুল আহমদ তার বক্তব্যে বলেন, নির্বাচিত হলেই সরকার গণতান্ত্রিক হয় না, বর্তমান সরকারই তার প্রমাণ। নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন যে, ‘‘বিরোধী দলকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হবে। সংখ্যা দিয়ে তার মূল্যায়ন করা হবে না। বিরোধী দলকে ডেপুটি স্পীকার পদটি দেয়া হবে, তারা মন্ত্রিসভায় যেতে চাইলে তাও বিবেচনা করা হবে। আমরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করব না।’’ কিন্তু গত দুই বছরে সেই ওয়াদার একটিও বাস্তবায়ন করা হয়নি। তিনি বলেন, তাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রথম শিকার জামায়াতে ইসলামী।