বাংলাদেশে বিরোধী দল বিএনপি বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে। বিএনপির সিনিয়র নেতারা এসব ঘটনার জন্য সরকারকে দায়ী করে বলছেন যে ‘বিএনপি বিহীন নির্বাচন’ নিষ্কণ্টক করতেই এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটছে।
তবে আওয়ামী লীগ এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলছে ‘দেশজুড়ে বিএনপি চোরাগোপ্তা হামলা ও নাশকতা করছে এবং এখন জনগণের কাছে ভালো সাজার জন্য নিজেদের নেতাদের বাড়িতেও একই কায়দায় হামলা করার সাজানো নাটক করছে’।
অন্যদিকে ঢাকায় মীর্জা আব্বাস ও সিলেটে সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নেতাদের বাড়িতে ককটেল নিক্ষেপ ও হামলার ঘটনাগুলোতে কেউ অভিযোগ না করায় কোন মামলা হয়নি বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ।
গত ২৮শে অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর বিভিন্ন মামলায় আটক হওয়া অনেকের বাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
চোরাগোপ্তা হামলার শিকার হচ্ছেন বলে বিএনপি অভিযোগ করেছে।
মানবাধিকার সংগঠক ও বিশ্লেষক নূর খান লিটন অবশ্য মনে করছেন নির্বাচনকে সামনে রেখেই এসব ঘটনা ঘটছে।
“এটা পরিষ্কার যে একটা ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির জন্যই এসব করা হচ্ছে,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আগামী ৭ই জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি এই নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে হরতাল অবরোধের কর্মসূচি পালন করছে।
এসব কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দেশে বিভিন্ন ধরনের সহিংস ঘটনাও ঘটছে।